নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় ইউনানী ওষুধ ব্যবসার প্রতারণা সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ার অজুহাতে আক্তার হোসেন নামের একব্যক্তিকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত ওই ব্যক্তি বাদি হয়ে গত ৪ মার্চ চকরিয়া থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি এজাহার দিয়েছেন। বাদি আক্তার হোসেন চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করাইয়াঘোনা এলাকার মৃত রওশন আলীর ছেলে। অপরদিকে হুমকিদাতা অভিযুক্তরা হলেন পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকার মনজুর আলমের ছেলে কফিল উদ্দিন, চিরিঙ্গা শহরের শ্রীদুর্গা ওষুধালয়ের দীপক বড়ুয়া, চকরিয়া থানা রাস্তার মাথার হারবাল মেডিসিন দোকান মালিক জাহাংগীর আলম, পেকুয়া চৌমুহনীস্থ হালবাল মেডিসিন দোকান মালিক আহমদ।
অভিযোগে বাদি আক্তার হোসেন দাবি করেন, সম্প্রতি সময়ে চকরিয়া উপজেলা সদরের দুইটি ও পেকুয়া চৌমুহনী এলাকার একটি হারবাল দোকানের বিরুদ্ধে ইউনানী ওষুধ ব্যবসার আড়াঁলে চলছে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা শিরোনামে কয়েকটি সংবাদপত্রে এবং অনলাইন পোস্টালে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়। সাংবাদিকরা স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধানপুর্বক সংবাদগুলো প্রকাশ করেছে। কিন্তু বিবাদি কফিল উদ্দিন অন্য অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে গত ৩ মার্চ রাতে মহেশখালী থেকে ফেরার পথে চকরিয়ার চোয়ারফাড়ি এলাকায় তাকে (ভুক্তভোগী আক্তার হোসেনকে) গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলার চেষ্ঠা করে। পরবর্তীতে চকরিয়া থানা সেন্টার এলাকায় এসে দ্বিতীয়দফা হামলার চেষ্ঠা করেন। দুইবারই আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে হামলা থেকে রক্ষা করেন।
ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন দাবি করেন, আমি সহজ সরল মানুষ। ছোট-খাট ব্যবসা করে সংসার চালায়। কিন্তু বিবাদিপক্ষের লোকজন সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দিয়েছি এই ধরণের অজুহাতে সংবাদ প্রকাশের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হামলার চেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। এমনকি মোবাইল ফোনে তাদের লোকজন আমাকে পথেঘাটে মারধর করবে বলেও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ ঘটনায় আমি নিরুপায় হয়ে চকরিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বাদি আক্তার হোসেন বলেন, তাঁর অভিযোগটি আমলে নিয়ে চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানার এসআই মুফিজুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ##
পাঠকের মতামত: